hsc

পরিবাহিতা নির্ণয়ে ব্যবহৃত পরিবাহিতা কোষ ও কোষ ধ্রুবক

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK

পরিবাহিতা নির্ণয়ে ব্যবহৃত পরিবাহিতা কোষ ও কোষ ধ্রুবক

পরিবাহিতা (conductivity) হলো একটি দ্রবণের বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালানোর ক্ষমতা। এটি দ্রবণের মধ্যে আয়নাগুলির উপস্থিতি ও তাদের গতি দ্বারা নির্ধারিত হয়। পরিবাহিতা নির্ণয়ের জন্য বিশেষ ধরনের পরিবাহিতা কোষ (conductivity cell) ব্যবহৃত হয়, যা দ্রবণের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা মাপতে সাহায্য করে।

পরিবাহিতা কোষ

পরিবাহিতা কোষ একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটের অংশ, যা দুইটি ইলেকট্রোড দ্বারা তৈরি হয় এবং এই ইলেকট্রোডের মধ্য দিয়ে দ্রবণ চলাচল করে। কোষটি সাধারণত লম্বা ও সংকীর্ণ আকারের হয়ে থাকে, যাতে ইলেকট্রোডগুলি দ্রবণের সাথে প্রাকৃতিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে।

এলেকট্রোড দুইটি সাধারণত সিলভার (Ag) অথবা প্লাটিনাম (Pt) দিয়ে তৈরি হয়, এবং দ্রবণটি ঐ ইলেকট্রোডের মধ্যে দিয়ে বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রবাহিত হতে পারে। যখন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, তখন দ্রবণের আয়নাগুলি চার্জ বহন করে এবং এটি বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা সৃষ্টি করে।

কোষ ধ্রুবক

কোষ ধ্রুবক (cell constant) পরিবাহিতা কোষের একটি মৌলিক গুণ, যা কোষের আকার এবং গঠন দ্বারা নির্ধারিত হয়। কোষ ধ্রুবক সাধারণত k দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং এটি কোষের দুইটি ইলেকট্রোডের মধ্যে দৈর্ঘ্য ও ক্ষেত্রফল দ্বারা সম্পর্কিত। এটি একটি পরিমাণ যা পরিবাহিতাকে নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়।

কোষ ধ্রুবকের মান নির্ণয় করা হয় এই সূত্র দ্বারা:

এখানে,

  • \(d\) = ইলেকট্রোডগুলির মধ্যে দূরত্ব
  • \(A\) = ইলেকট্রোডের পরিসর (যেমন, একক ক্ষেত্রফল)

পরিবাহিতা নির্ণয়ের জন্য, কোষ ধ্রুবক ব্যবহার করে পরিমাপ করা যেতে পারে এবং এটি বিভিন্ন দ্রবণের জন্য আলাদা হতে পারে।

পরিবাহিতা মাপার পদ্ধতি

পরিবাহিতা নির্ণয়ের জন্য সঠিক পরিবাহিতা কোষ এবং তার কোষ ধ্রুবক ব্যবহার করতে হয়। কোষ ধ্রুবক যখন জানা থাকে, তখন পরিবাহিতা নির্ণয় করা হয় নিম্নলিখিত সূত্র দ্বারা:

এখানে,

  • \(k\) = কোষ ধ্রুবক
  • \(G\) = দ্রবণের গ্যাডি (conductance), যা মাপা হয় কোষে প্রবাহিত বিদ্যুৎ দ্বারা।

এই পদ্ধতিতে পরিবাহিতা নির্ণয় করা হয়, যা রাসায়নিক বিশ্লেষণ এবং গুণগত পরীক্ষা গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


সারাংশ

পরিবাহিতা কোষ এবং কোষ ধ্রুবক পরিবাহিতা নির্ণয়ের জন্য অপরিহার্য উপাদান। কোষ ধ্রুবকের মাধ্যমে আমরা দ্রবণের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা নির্ধারণ করতে পারি এবং এটি বিভিন্ন রাসায়নিক এবং শিল্প কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

Content added By
Promotion